তানিন সুবাহর মৃত্যুর পর আলোচনায় তাবিজ-কুফরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৫, ২৩:৪৩

টানা আট দিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানিন সুবাহ। নায়িকার অকাল মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে তার তাবিজ-কুফরির প্রতি একসময়ের অবিশ্বাস থেকে পরে বিশ্বাস জন্মানোর কথা। কেননা তিনি এর শিকার বলে মনে করতেন।

গত ১৯ মে একটি ফেসবুক পোস্টে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানানোর পাশাপাশি তার তাবিজ-কবজের প্রতি বিশ্বাস জন্মানোর প্রসঙ্গও আনেন তানিন সুবাহ। সেটি নিয়েই এখন নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা।

কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে গত কটি দিন বেঁচে থাকা তানিন সুবাহকে মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সহকর্মী ও ভক্তদের মাঝে।

এই শোকের মধ্যেই আলোচনার তুঙ্গে তানিন সুবাহর সেই পোস্টটি।

ফেসবুক পোস্টে তানিন সুবাহ লেখেন, কোনোদিন আমি তাবিজ বা কুফরিতে বিশ্বাস করতাম না। এখন করি। সুস্থ একটা মানুষকে এভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করে কি লাভ? ঘরের আনাচে কানাচে কত কি যে পেলাম। কেন এমন করছেন! আমি তো কারো ক্ষতি করিনি। লাস্ট ৪ মাস ধরে শুধু অসুস্থ আর অসুস্থ আমি। এসব এর ফল পাবেন চিন্তা কইরেন না। আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না।

এই পোস্টের কিছুদিন পর, ২ জুন তানিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

তানিন সুবাহর মৃত্যু এবং এর আগে তার ওই পোস্টকে অনেকে কাকতালীয় বলছেন। আবার কেউ কেউ এর পেছনে অন্য কিছু থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

তানিন সুবাহ ২০১৫ সালে আজাদ কালাম পরিচালিত জমজ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। মোশাররফ করিমের বিপরীতে প্রথম কাজেই নজর কাড়েন তিনি। এরপর আলাল দুলাল, সেয়ানা জামাই, ম্যারেজ মিডিয়া ডটকমসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে—‘অবাস্তব ভালোবাসা, মাটির পরী, স্বপ্নের সাথী, দেমাগতুই আমার-এর মতো ছবিতে কাজ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/এলএম/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :