জিয়ার আদর্শে আস্থাশীল এস এ খালেক ছিলেন জনপ্রিয় নেতা: তারেক রহমান

প্রবীণ বিএনপি নেতা, দলের অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এস এ খালেকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রবিবার বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি শোক প্রকাশ করে এস এ খালেকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। পাশাপাশি শোকর্ত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তারেক রহমান বলেন, এস এ খালেক একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ছিলেন। নিজ এলাকায় জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তার সুনাম ছিল। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল ছিলেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন সমাদৃত। অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী এই মানুষটির মানুষটির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এস এ খালেক মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
সোমবার বেলা ১২টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং দুপুর ২টায় মিরপুর বাঙলা কলেজ প্রাঙ্গণে এস এ খালেকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গাবতলী মিরপুর শাহী মসজিদের পাশে পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এস এ খালেকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এস এ খালেক একজন জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা হিসেবে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সুগঠিত ও শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। আলাদা বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে তারা এস এ খালেকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এস এ খালেককে। শনিবার রাতে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে এস এ খালেককে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম।
একসময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিক এস এ খালেক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যাসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার হার্টে ১৩টি রিং পরানো ছিল।
এস এ খালেক রাজনীতির পাশাপাশি একজন বড়মাপের ব্যবসায়ীও ছিলেন। আবাসন খাত, পরিবহন সেক্টরসহ নানাখাতে তার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। সমাজসেবামূলক কাজেও এস এ খালেকের পরিবারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে।
বিএনপির রাজনীতিতে এস এ খালেকের পথচলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। দলে যোগ দেওয়ার পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা-১৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর ৮৬ ও ৮৮ সালে পরপর দুবার সংসদ নির্বাচিত হন এস এ খালেক। পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দেশের জাঁদরেল আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনও এস এ খালেকের জনপ্রিয়তার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এসএ খালেক তার নির্বাচনী এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি বৃহত্তর মিরপুরে যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছেন। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এস এ খালেকের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫জানুয়ারি/ডিএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিএনপিতে আওয়ামী লীগের স্থান হবে না: মির্জা ফখরুল

অপরাধ করলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন, আসিফকে ইশরাক

এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে না রাখার পক্ষে জামায়াত

নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, আশা রিজভীর

সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

গুলশানের নিজ বাড়িতেই উঠবেন তারেক রহমান

জুলাই ঘোষণা ও সনদের দাবিতে কর্মসূচি পালনের নির্দেশ এনসিপির

জুবাইদা রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনি পরিবেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক: আমিনুল হক
