কুষ্টিয়ায় জামায়াতের সভায় বিএনপির হামলার অভিযোগ, আহত ৩০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪২

কুষ্টিয়ার মিরপুরে জামায়াতের ডাকা মীমাংসা সভায় বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলায় চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তারা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রবিবার বিকালে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও স্থানীয় বিএনপি নেতা তাদের নাম বিদ্যালয়ে জমা দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকালে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ জন আহতের ঘটনা ঘটে।

তবে জামায়াত নেতাদের দাবি, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল সভাপতি হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে নাম জমা দিলে স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসির তার নাম তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকালে জামায়াতের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিএনপির সঙ্গে মীমাংসার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

এ সময় পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ। এতে জামায়াতের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহত এক বিএনপির কর্মী বলেন, ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছিল। জামায়াত বাইরে থেকে লোকজন এনে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে জামায়াতের জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম জানান, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের জন্য জামায়াতের নেতারা প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। কিন্তু সে সমস্যার সমাধান আর হয়নি। ইতোমধ্যেই বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে দোষীদের আটক করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বানকে তার সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :