আ.লীগ নেতার স্বজনদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টা, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০২৫, ২২:৪০

বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও তাদের স্বজনদের মাধ্যমে গঠিত ম্যানেজিং কমিটি দিয়েই চলছিল লক্ষ্মঅপুরের রামগতি আহমদীয়া কলেজের কার্যক্রম। পটপরিবর্তনের পরও সেই আগের নিয়মে কমিটি গঠন করতে অধ্যক্ষ বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা।

এমন খবরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী। কমিটি বাতিল করতে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছেন তারা। পরে সবার সম্মতিক্রমে নতুন কমিটি গঠন ও আওয়ামী লীগ নেতার তৈরি কমিটি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেন অধ্যক্ষ।

সোমবার (১৬ জুন) উপজেলার আহমদীয়া কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়জুড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ রামগতি আহমদীয়া কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই কমিটিতে তার স্ত্রী জামশেদা জাং চৌধুরী, ছেলে ফারাবি, বোন জামাই একরামুল হকসহ বেশকয়েকজন আত্মীয় স্বজনকে জায়গা করে দেন আব্দুল ওয়াহেদ।

তবে ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর পতিত সরকারের আমলে গঠিত দেশব্যাপী সব কলেজের ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সরকার। এরপর কলেজ পরিচালনায় আব্দুল ওয়াহেদের বোন জামাই একরামুল হককে সভাপতি করে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।

সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে গিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। কমিটিতে (সাবেক সভাপতি) আব্দুল ওয়াহেদ তার বোন জামাই একরামুল হককে সভাপতি করে, বোন রিজিয়া মালেক, ভাগিনা মো. বাপ্পি ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের অন্তর্ভুক্ত করে গোপনে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি ঘোষণা করার চেষ্টা করেন। সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদের তৈরি করা ওই কমিটি কলেজে বসে রেজুলেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রামগতির ছাত্র-জনতা, বিএনপি, জামায়াত এক হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামী লীগের কাউকে রাখা হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, এই কলেজের অনিয়ম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আমলে যে অনিয়ম হয়েছে এখনো একই নিয়মে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতা আগেও কলেজটাকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করেছেন, এখনো করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মো. মহসিন নামে এক অভিভাবক বলেন, কলেজে কোনো শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকমতো পরিচালিত হয় না। তারা শুধু লুটপাট নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।

এ বিষয়ে রামগতি আহমদীয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহজাহান তালাশীর মোবাইল নাম্বারে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকা টাইমস/১৭জুন/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :