রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাটের সকল পথ বন্ধ করতে হবে: সাংবাদিক এমএ আজিজ

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এমএ আজিজ। তার দাবি, ‘এসব লুটপাটের সকল পথ বন্ধ করতে হবে।’

এমএ আজিজ বলেন, ‘৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদের পতনের পর অনেক সাংবাদিক পালিয়েছে, যা অতীতে কখনো ঘটেনি। মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষায় দেশ গঠনের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলেছে দুর্নীতির মহোৎসব।’

বুধবার বিকালে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী গণইফতারের চতুর্থ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষা সম্পাদক ফয়সাল মনিরের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হক।

এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবপার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ ) শাহজাহান ব্যাপারি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক এমএ আজিজ বলেন বলেন, ‘এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার রাজনীতিই এবি পার্টি করে আসছে। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের কারণে। এখনো আমরা বৈষম্যের মধ্যেই আছি।’

আগামী নির্বাচনে গণইফতারে উপস্থিত জনতাকে সৎ নেতা বেঁছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আজ এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে এসব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আগামীতে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এমন দল ও নেতাকে ভোট দেবেন। কোনো চোর বাটপারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানো যাবে না।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হক বলেন, ‘ইসলামে সাম্য, সমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এবি পার্টিও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে আগামীর রাষ্ট্র গড়তে চায়। প্রতিকূল পরিস্থিতির শত বাধা পেরিয়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় দল হয়ে উঠছে এবি পার্টি।’

বিগত ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এবি পার্টির সাহসী সংগ্রামের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাওলানা একেএম আশরাফুল হক।

গণ ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্যসচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, কেন্দ্রীয় সহকারী শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ফয়সাল মনির, যুব পার্টির মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাহমুদ আজাদ, দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ, কেফায়েত হোসাইন তানভীর, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রব জামিল, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, শরন চৌধুরী, সহ-অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সহ-প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, ইকবাল হোসাইন, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক আরিফ সুলতানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এজে)