হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নিলে গোটা অঞ্চল নরক হয়ে উঠবে: বিবিসিকে ইরানের উপমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের হামলায় সরাসরি যুক্ত হয়, তাহলে তা গোটা অঞ্চলের জন্য নরক বয়ে আনবে ইরান— এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে। তিনি বলেছেন, এটা আমেরিকার যুদ্ধ নয়।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি করেন ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে (ইরান-ইসরায়েল সংঘাত) জড়িত হন, তাহলে তিনি একজন এমন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাসে থাকবেন, যিনি এমন এক যুদ্ধে জড়ালেন, যার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পৃক্ত হয়, তাহলে এই সংঘাত একটি জটিল দুর্যোগে রূপ নেবে, আগ্রাসন চলবে এবং নৃশংসতা বন্ধের প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হবে বলে সতর্ক করেন খাতিবজাদে।
এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়াবে কি না।
এই সময়ের মধ্যে চলমান সংঘাতের একটা কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছে বিভিন্ন মহল।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাতিবজাদে বলেন, “কূটনীতি অবশ্যই আমাদের প্রথম পছন্দ,” তবে তিনি আরও বলেন, “যখন বোমাবর্ষণ চলছে, তখন আমরা কোনো আলোচনায় বসতে পারি না।”
খাতিবজাদে বারবার বলেন, ইরানের ইসরায়েলে হামলাগুলো “জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষা”। তিনি দাবি করেন, “আমরা কূটনীতির মধ্যেই ছিলাম” যখন ১৩ জুন, সংঘাতের এক বড় রূপে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে শীর্ষ কয়েকজন জেনারেল ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করে।
তিনি সংঘাতকে “উসকানি” এবং “অপ্রয়োজনীয়” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ইরান আলোচনায় ছিল, কিন্তু ইসরায়েলের হামলাই আলোচনা বানচাল করেছে।
খাতিবজাদে জানান, “আমরা মাসকাটে ষষ্ঠ দফা পারমাণবিক আলোচনার পরিকল্পনা করছিলাম এবং বাস্তবেই একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ছিলাম।”
“ট্রাম্প অন্য যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে ভালো জানেন আমরা চুক্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম,” বলেন তিনি।
খাতিবজাদে ট্রাম্পের “বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট ও সাক্ষাৎকারগুলোরও সমালোচনা করেন। তার মতে, এগুলো “প্রমাণ করে যে আমেরিকানরা সংঘাত সম্পর্কে জানত এবং তাতে জড়িত ছিল।”
রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি শুক্রবার থেকে কয়েকবার ফোনে কথা বলেছেন, সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের খোঁজে।
তিনজন পশ্চিমা কূটনীতিক রয়টার্সকে জানান, (পরিচয় গোপন রাখার শর্তে) আরাকচি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে ইরান আলোচনায় ফিরবে না।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান সম্প্রতি তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদের “অস্ত্রায়নের পথে পদক্ষেপ” নিয়েছে। খাতিবজাদে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। আমরা যদি পারমাণবিক বোমা বানাতে চাইতাম, তাহলে অনেক আগেই বানিয়ে ফেলতাম।”
“ইরান কখনোই শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রমকে অস্ত্রায়নে পরিণত করার কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। এটাই শেষ কথা।” খাবলেন খাতিবজাদে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
(ঢাকাটাইমস/২০জুন/মোআ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ
এবার ইসরায়েলের মরু শহর বিয়ারশেবায় বড় বিস্ফোরণ

ইরানে হামলার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ, এক দিনে আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত

সময় মাত্র দুই সপ্তাহ!

ইরানের মিসাইলগুলো বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে: খামেনি
ভূয়া তথ্য প্রচারে ইরানের টার্গেট লিস্টে ইসরায়েলের চ্যানেল-১৪, যেকোন সময় হামলা

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল পৌঁছাতে কত সময় লাগে?

যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা, ইরান

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমা বেড়েছে ২৩ গুণ

যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটি ও স্থান থেকে বিমান-যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে
