চুয়াডাঙ্গায় টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি নেতা খুন, আহত ৪

টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম রফিক (৪৮) নামের এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাই শফিকুল ইসলামসহ আরও চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তিতুদহ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত রকিফুল ইসলাম রফিক তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

আহত অন্যরা হলেন তিতুদহ গ্রামের কামারপাড়ার মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০), মৃত আবু বক্করের ছেলে আব্দুল আলিম (৫৫) ও একই ইউনিয়নের হুলিয়ামারি গ্রামের মৃত শরবত মণ্ডলের ছেলে আইনাল হক (৫০)। আহত চারজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত শফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন গ্রুপ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তারই জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধারাল অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলে নিহত হন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। আহত হন আরও চারজন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আহত চারজনের মধ্যে শফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথার খুলি ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস বলেন, টিসিবির কার্ড বণ্টন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর পরই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রফিক নামের একজন মারা যান। কয়েকজন আহত হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/মোআ)