মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম এক মৌলিক উপাদান। মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আমরা যদি চিরায়ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে মিডিয়াকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে রংপুর ডিভিশনাল রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না, সেটা যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে সমাজের প্রকৃত সত্য ওঠে আসবে না। চাঁদাবাজিটাও প্রকাশ করতে হবে আবার যে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো সে নিউজও করতে হবে। মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যদি পালন করে তাহলে মিডিয়া মিডিয়ার জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। যা সত্য তাই প্রকাশ করতে হবে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, “গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম এক মৌলিক উপাদান। মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আমরা যদি চিরায়ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গত ১৭ বছর এত আন্দোলন রক্তপাত সর্বশেষ জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার পৃথিবী কাঁপানো যে বিপ্লব হয়ে গেল সেটার মূল স্পিরিটটি হচ্ছে ডেমোক্রেসি। আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করি। আমরা নানা বিষয়ে সমালোচনা করব। আবার আমরা একই প্লাটফর্মে বসে কথা বলব। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল চেতনা। এই চেতনাকে প্রটেক্ট করবে গণমাধ্যম তার দায়িত্ব তার স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে কাজ করবে। মিথ্যার কোনো আশ্রয় নেবে না।”
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যমের কীরকম স্বাধীনতা দেখেছি। অনেক গণমাধ্যমের মালিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমাদের অনেক কথা প্রকাশ করতে দেয়নি। অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করেছে প্রকাশ করার জন্য, কিন্তু পারেনি। তারপরও তারা দায়িত্ব পালনে কখনো অবহেলা করেনি।”
বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাত তিনটা- বারোটার সময় সংবাদ সম্মেলন করেছি সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছে। আমাদের অনেক ছেলেকে গুম করা হয়েছিল, অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকরা অনলাইনে টিভিতে পত্রিকায় নিউজ দিয়েছে। গণমাধ্যমে এই কর্মীদের কারণেই আমাদের অনেক ছেলে গুম হওয়া থেকে বেঁচেছে। ঐরকম একটা ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ও সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছেন।”
মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এই ধরনের একটা আইন হওয়া উচিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ার কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না-এই ধরনের একটা আইন হলে ভালো হতো। আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি, এত রক্তপাত হয়েছে, সেই ঝরানো রক্তটা মর্যাদা লাভ করবে। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মিডিয়ার মালিকরা যদি মিডিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ না করে তাহলে গণতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী হবে।”
তিনি বলেন, “একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে পলিসি, সে পলিসির সব সময় ঘাটতি রয়েছে। কোথায় কী প্রয়োজন সেটা টার্গেট করে। সেখানে কী করতে হবে এটা অনেক সময় অধরা রয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি ঠিকভাবে সমন্বয় করে সেই জায়গাগুলোতে যেতে পারতাম তাহলে সেখানে যে অভাব সেটা থাকতো না।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তামজিদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক জিসানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রকি, জসিম, শুভ।
এর আগে নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, “তারেক রহমান ইফতার মাহফিল না করে টাকা গরিব মানুষদেরকে দেওয়ার জন্যে আমাদের বিভিন্ন সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন। যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে সেসব সংগঠনগুলোকেও পরামর্শ দিয়েছেন এই ধরনের ব্যবস্থা করতে।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/ জেবি/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ
গণতন্ত্রের বাস্তবায়ন এখনও সম্পন্ন হয়নি: রিজভী
মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ জোরদার করতে হবে: তারেক রহমান

শহীদ মিনারে ‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান চলছে, ভিজে ভিজে আসছেন নেতা-কর্মীরা

দিনে বিএনপি রাতে আ.লীগ করেছে এমন লোকদের সদস্য পদ নবায়ন হবে না: আমিনুল হক

এক মাস আগেই জানিয়েছিল ঢাকাটাইমস- গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে তারেক রহমানের বাড়ি

বিগত সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: মঈন খান

জুলাই সনদ, সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন: সেলিম উদ্দিন

‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ শুক্রবার

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
