বাংলাদেশের মতো এতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০৯ | প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৫

বাংলাদেশের মতো এতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সব সময় আছে। এখানে যত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে, তা আর কোথাও নেই। এখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে আছে, একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো এতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর কোথাও নেই।'

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার এখানে বেশি পুণ্যার্থী এসেছে। এখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নেই। এখানে সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবেই আমরা সবাই এখানে এসেছি। এখানে পুণ্যস্নান করে আমরা সবাই যাতে পুণ্য থাকতে পারি সেটাই সরকারের প্রত্যাশা।’

এ সময় আগতদের ধৈর্য ধরে স্নান করার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে গুজব ছড়ানোর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'মিথ্যা সংবাদ দিলে লোকজন বেশি দেখবে সে পয়সাটা বেশি পাবে এজন্য অনেকে তা করে।'

যেসব বিদেশি মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যম সত্য সংবাদ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রতিহত করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

লাঙ্গলবন্দকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এখানে কিভাবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেটি দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্র হলে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আওলাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ। এর আগে তিথি অনুযায়ী শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা এক মিনিট থেকে লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হয়েছে অষ্টমীর স্নান। এ উৎসবকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো পুণ্যার্থীর পদচারণে এখন মুখরিত লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকা। তিথি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নদের দুপাড়ের ১৮টি ঘাটে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।

পাপমুক্তি ও পুণ্যলাভের আশায় তীর্থযাত্রীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করেন।

এই স্নানোৎসব শেষ হয় শনিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে।

(ঢাকা টাইমস/০৫এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :