বগুড়ায় আদালতের হাজতে আ.লীগ নেতাকে মারধর

বগুড়া আদালতের হাজতখানায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক অন্য আসামিদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর জুলাই গণঅভুত্থানে গণহত্যা মামলাসহ বগুড়া সদর থানায় মোট ১২টি মামলার আসামি আবু সুফিয়ান শফিক। গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ৮টায় ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার তার আদালতে হাজিরার দিন ছিল। শফিককে কারাগার থেকে এনে আদালতে হাজিরা শেষে হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানে বিভিন্ন মামলার আরও বেশ কয়েকজন হাজতি অবস্থান করছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে শফিকের হাতে থাকা পানির বোতল থেকে সাগর নামের হত্যা মামলার এক আসামির শরীরে পানি পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায় সাগর ও তার সহযোগী জলিল মারধর করেন শফিককে। পরে হাজতের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শফিককে অন্যত্র সরিয়ে নেন।

এদিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় আদালত চত্বরে আবু সুফিয়ান শফিক সাংবাদিকদে বলেন, ‘পলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি হাজতখানার বাথরুমে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাকে মারধর করা হয়। আমাকে চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। সাগর, জলিলসহ চারজন আমার ওপর হামলা করেছে। তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় আমি মামলা করব।’

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি হাজতখানায় গিয়ে শফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/মোআ)