গুলিবিদ্ধ হয়েও মাদকসহ তিন কারবারিকে গ্রেপ্তার, পুলিশের সাহসিকতার প্রশংসায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েও সাড়ে ৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধারসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের সাহসের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেছেন, গুলি করার পরেও তারা তিনজনকে আটক করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার দিবাগত রাতে পল্টনে মাদকবিরোধী অভিযানে গুলির ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তথ্য ছিল, চট্টগ্রাম থেকে একটি গাড়ি আসছে। যেটার ভেতরে মাদক আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি টিম ফকিরাপুল এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এই সময় একটি গাড়িকে থামার সিগন্যাল দিলে গাড়িটি সামনে এগিয়ে যায়। প্রায় ৬০০ গজ সামনে যাওয়ার পর গাড়িটি থামানো হয়। গাড়ি থেকে একজন গুলি করলে আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এর মধ্যে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে একজন কনস্টেবল ও এএসআই রয়েছেন।

আহতদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গুলিতে এএসআইর পেটে গুলি লেগেছে। তবে তার কোনো অর্গানে না লাগায় তিনি শঙ্কামুক্ত। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ এরপর অপারেশন করে গুলিটা বের করা হবে। এছাড়া কনস্টেবলের পায়ে গুলি লেগেছে। তাকে আজকেই রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে ৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মাদককারবারিকে চ্যালেঞ্জ করার পরেও পুলিশের ওপর হামলা করলো বিষয়টা কিভাবে দেখছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলি করার পরেও তারা তিনজনকে আটক করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে। জীবন বাজি রেখে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্র- জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই ঘটনায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার হয় নাই৷ পিস্তল ব্যবহার হয়েছে।

পুলিশের জীবন রক্ষায় যে অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে। এটা যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের যে ধরনের অস্ত্র দরকার সেটা দিয়েই কাজ করবে৷

অপরাধীরা বেশি সুযোগ নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা বেশি সুযোগ নিতে পারছে না। কারণ পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে গুলির পরেও তাদের আটক করেছে।

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী, ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম, রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এলএম)