দিল্লিতে কেজরিওয়াল রাজত্বের অবসান, বিজেপির জয়

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবরে পড়েছে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক দল আমি আদমি পার্টি (আপ)। এ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয় বিজেপির প্রার্থী কাছে হেড়েছেন খোদ কেজরিওয়ালও। আর এতেই ২৭ বছর পর পুনরায় দিল্লির বিধানসভা দখলে নিল পদ্ম শিবির।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, ৭০ আসনের দিল্লির বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। আপের থলিতে গেছে ২২টি আসন। অন্যদিকে, হাটট্রিক গড়েছে কংগ্রেস। ২০১৫, ২০২০ ও এরপর ২০২৫ সালেরও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হাতেই ফিরেছে তারা।

জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকেই একটানা নয়া দিল্লি আসনে জয়ী হয়ে আসছেন কেজরিওয়াল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিতকে হারিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কেজরিওয়াল।

এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এবারের বিধানসভা নির্বাচন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অ্যাসিড টেস্ট ছিল। সেই পরীক্ষাতেই ডাহা ফেল করে গেলেন কেজরিওয়াল। বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে ৩ হাজার ১৮২ ভোটে হেরে গেলেন তিনি।

শুধু কেজরিওয়াল নন, হেরেছেন তার অন্যতম রাজনৈতিক বন্ধু তথা সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও। আম আদমি পার্টির তাবড় তাবড় মুখদের এমন পরাজয়ের কারণ হিসেবে আবগারি নীতি দুর্নীতিই মনে করা হচ্ছে। এই দুর্নীতিতে জেলেও যেতে হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মণীশ সিসোদিয়াকে।

এদিকে হারের দিল্লিবাসীদের জন্য বিশেষ ভিডিও বার্তা দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ক্ষমতা দখল নয়, জনতার সেবা করতে এসেছিলাম। দিল্লিবাসীরা যা রায় দিয়েছে, তা আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। এবার থেকে একটা ভাল বিরোধী রূপে আমরা কাজে নামব।’

এরপরই দলের সকল জয়ী-পরাজিত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

অন্যদিকে দিল্লির নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয়ে উল্লাস প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পোস্টে মোদি বলেছেন, ‘বিজেপির ঐতিহাসিক বিজয়ে সকল ভাই-বোনদের আমার স্যালুট এবং অভিনন্দন... আমি আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আপনাদের সকলের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ...।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দিল্লির সর্বাত্মক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনকে আরও উন্নত করার কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখবো না।’

সূত্র: এনডিটিভি

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)