গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২ শিশু নিহত

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আরও আক্রমণ শুরু করেছে। সব ত্রাণ সামগ্রীর ওপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধ যখন ১৩তম দিনে প্রবেশ করেছে তখন গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় হামলায় কমপক্ষে দুই শিশু নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজায় বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর বেইত হানুনে ড্রোন হামলা। সেখানে এক শিশু নিহত এবং তার মা আহত হয়েছেন। গাজা সিটির কাছে একটি ড্রোন হামলায় আরও এক শিশু নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস করে এবং যুদ্ধ কৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানুয়ারি থেকে পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫৪টি হামলার ঘটনা যাচাই করেছে, যার মধ্যে চারজনের মৃত্যু এবং নয়জন আহত হয়েছে।

হামাস আরও ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ ৬০ দিন বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাবের ওপর আলোচনার ইসরায়েলি প্রতিবেদনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।

অপরদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ার সীমান্তের কাছে লেবাননের বেকা উপত্যকার জেন্নাতা গ্রামের চারপাশে বোমাবর্ষণ করেছে, যা হিজবুল্লাহর সঙ্গে তাদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৫ জন আহত হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। জানিয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দি করা হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এফএ)