ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৪৯ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৫:১০

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ফলাফল বাতিল করে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয় এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন।

রায় ঘোষণার পর ইশরাক হোসেন বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ভোট জালিয়াতি হয়েছিল। এই রায়ে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে মেয়র হিসেবে শপথ নেব কিনা তা দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আট জনকে বিবাদী করা হয়।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলাম। তাকে মেয়র হিসেব ঘোষণার আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আমাদের পক্ষে রায় দিলেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেন। তারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/জেবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার আটক

কার্যকর ও টেকসই সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি হতে পারে : জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বড় ভুক্তভোগী বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমান

৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়ার ৩৫ লাখ টাকা যাত্রীদের ফেরত দিল সেনাবাহিনী

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া বন্ধ করুন: ভারতকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

এখন থেকে প্রতি বছরের ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: ফারুকী

নির্বাচনের অফিশিয়াল নির্দেশনা আসেনি, আসলে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী

২১ দিনে সেনা অভিযানে ৯৯৬ জন গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :