৬ কালোবাজারিকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব
‘ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসে, কালোবাজারিদের টিকেটের দাম তত বাড়ে’

ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)। বুধবার ও ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, বনশ্রী, ডেমরা ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মো. রিয়াজুল ইসলাম (২৯), মো. সেলিম (৫৩), সোহেল মিয়া (৩৬), তৌফিক (২৮), মাইনুল ইসলাম (২৪) ও রাকাতুল ইসলাম (১৯)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩১৪টি আসনের ৮২টি টিকেট ও বিপুল পরিমাণ মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে আসামিদের কাছ থেকে।
র্যাব জানায়, ‘ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে, কালোবাজারিরা টিকেটের দাম তত বাড়াতে থাকে। কালোবাজারিরা সাধারণত ২ থেকে ৩ গুন মূল্যে টিকেট বিক্রি করে থাকে। সুযোগ এবং সময় বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকেটের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা শাহজাহানপুরের ঝিলপাড়ে অবস্থিত র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, সম্প্রতি ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিদের অধিক মূল্যে টিকেট বিক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল বুধবার (২৬মার্চ) রাতে রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের সদস্য মো. রিয়াজুল ইসলাম (২৯)কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রিয়াজুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে র্যাব-১১ এর সহায়তায় অপর একটি অভিযানে কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা মো. সেলিম (৫৩)কে রাজধানীর ডেমরা থানার ডগাইর বাজার এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে আজ সকালে র্যাব-৩ কর্তৃক পৃথক অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে আসামিদের সহযোগী কালোবাজারি ট্রেনের টিকেট বিক্রয়কারী সদস্য সোহেল মিয়া (৩৬), তৌফিক (২৮), মাইনুল ইসলাম (২৪), ও রাকাতুল ইসলাম (১৯)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আসামিরা সবাই সংঘবদ্ধ টিকেট কালোবাজারি চক্রের সদস্য। ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকেটের বিপুল চাহিদা থাকে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে অনলাইনে অল্পমূল্যে টিকেট ক্রয় করে টিকেট প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের নিকট উচ্চমূল্যে গোপনে টিকেট বিক্রি করে। তারা মূলত ট্রেন ছাড়ার ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে থেকে অধিক মূল্যে টিকেট বিক্রির তৎপরতা শুরু করে। ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে মজুদকৃত কালোবাজারি টিকেটের দাম তত বাড়তে থাকে। তারা সাধারণত ২ থেকে ৩ গুণ মূল্যে টিকেট বিক্রি করে থাকে। সুযোগ এবং সময় বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকেটের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়।
(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এলএম/এমআর)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

বিমানবন্দর এলাকায় ৯৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

তাণ্ডব পাইরেসি, মামলার প্রধান আসামি টিপু সুলতানসহ গ্রেপ্তার ২

মিরপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই, লুণ্ঠিত অর্থ-বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

সাবেক মেয়র তাপসের সহযোগী খোরশেদ গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ কারাগারে হত্যা মামলার আসামির আত্মহত্যা

বিপুল ইউরিয়া সার ও রয়েল টাইগারসহ ৬ পাচারকারী আটক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশিদের, মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার

সবুজবাগে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর তিন টুকরো করে বালু চাপা, গ্রেপ্তার ১

রূপগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে গুলি, যুবদল কর্মী নিহত
