শ ম রেজাউলের এপিএস যুবলীগ নেতা বাবু ৩ দিনের রিমান্ডে

হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের এপিএস ও পিরোজপুর সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা বাবু হাওলাদার ওরফে মদ বাবুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার বাড্ডা থানায় হওয়া মামলায় মঙ্গলবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস সালাম ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বাবু হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’

বাবু হাওলাদার পিরোজপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের এপিএস পরিচয় দিতেন। ২৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এই বাবুর বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৭টি মামলা তথ্য মিলেছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হন এই বাবু হাওলাদার। এলাকার সবাই তাকে ‘মদ বাবু’ নামে চেনেন।

যে মামলায় রিমান্ডে বাবু:

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৭ ‍জুলাই রাজধানীর বাড্ডার লিংক রোডে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা এতে। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগ নেতা বাবু হাওলাদারসহ তার দলের অনুসারীরা। হামলায় আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী চোখে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে বাবু হাওলাদারসহ তার অনুসারীরা ওই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। এসময় আশপাশে থাকা সাধারণ জনতা তাদের প্রতিহত করেন এবং শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে মামলা হয়।

এদিকে বাবু হাওলাদার গত জুলাইয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন এবং সূত্রাপুর থানাধীন কবি নজরুল ইসলাম কলেজের গেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় বাবু হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রায় ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী অংশগ্রহণ করে। এ ঘটনায় হত্যা, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে কেরানীগঞ্জ থানার চর কালিগঞ্জ গ্রামের মো. শাহ আলমের স্ত্রী কিসমত আরা বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৮৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাবু হাওলাদার এজাহার নামীয় ৪২ নম্বর আসামি।

এছাড়া বাবু হাওলাদারের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা হয়। তাছাড়া গত ২৪ আগস্ট পিরোজপুর সদর থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/এসএস/এমআর)